‘‘নিলো সে আমার কাম তারপর পালঙ্কবিতানে
এলিয়ে ঈষত্ হেসে তাকালো সে অলসনয়না
সমুদ্রের মতো নম্র অতলান্ত আমার কামনা
ছুঁলো তার তুঙ্গ চূড়া জোয়ারের প্রবল উত্থানে
বুঝে নিলো পোযমানা বাঘিনীর চতুব কৌশলে
তার শ্লথ স্বপ্নিল দেহের লাস্যে আমার আহ্লাদ
যে ভঙ্গি যখনই বাছে, তা-ই পায় প্রখর আস্বাদ
সরলে পিচ্ছিলে মেশা লাবণ্যের সহজ হিল্লোলে’’
- অলংকার
‘‘ঘাঘরায় গন্ধ ঝরে, ঝিমঝিম ঝরায় মনে
সেখানে কবর খোঁড়ে আমার এ খিন্ন মাথা
মৃত সব প্রণয় আমার, বাসি এক মালায় গাঁথা,
নিশ্বাস পূর্ণ করে কী মধুর আস্বাদনে’’
- লিথি
‘‘হতে চাই তোর ফুল্ল তনুর হন্তা
ক্ষমাশীল স্তনযুগলে আঘাত ক’রে -
এবং ঊরুর বিস্মিত অন্তরে
দীর্ঘ, কঠিন, ক্ষমাহীন এক ক্ষন্তা
তারপর - এ কী মধুর অপস্মার! -
ঐ অভিনব, উজ্জ্বলতর ঠোঁটে
সনির্বন্ধ প্রতিহিংসায় ছোটে
আমার তীব্র গরল - বোন আমার !’’
- অতিশয় লাস্যময়ীকে
‘‘নিঃশব্দ শূন্যতাময় পেগানের প্রাচীন গুহায়
ধুপতির ধূমালোকে কেউ কেউ তীব্র জ্বরে কাঁপে
বিক্ষেপের আলোড়নে যাচে এক সক্ষম সহায় -
হে বাকুস, ঘুম দাও আমাদের আদিম সন্তাপে !
আরো আছে - আকণ্ঠ গুন্ঠন টেনে সন্ন্যাসিনী সাজে
গম্ভীর কাননে যারা, জনহীন স্তম্ভিত নিশায়
লুকিয়ে ভীষণ কশা আলম্বিত বসলের ভাঁজে
ফেনিল প্রমোদপুঞ্জে যন্ত্রণার ক্রন্দন মেশায় ।’’
- পাতকিনী
‘‘শুষে নিলো আমার পঞ্জর থেকে সব রক্তরস
মায়াবিনী, আর আমি, লালসার আহ্লাদে অবশ,
চুম্বনে উদ্যত হয়ে চেয়ে দেখি, জীর্ন পুঁটুলিতে
ভরা আছে পুঁজ, ক্লেদ, অনুলিপ্ত ঘৃণ্য আঁটুলিতে।
ঠান্ডা ভয় হঠাত্ নয়নে দেয় যবনিকা ফেলে,
তারপর বাস্তবের দিবালোকে দৃষ্টি ফিরে পেলে
দেখি, যে আমার পাশে পরাক্রান্ত রঙিন পুতুল,
শোণিতের ঋণে ছিলো সঞ্জীবনে আপাতপ্রতুল -
সে কোথায় শুধু এক কঙ্কালের বিধ্বস্ত বিকার,
আবহকুক্কুট যেন, নড়ে উঠে ছড়ায় চিত্কার’’
- পিশাচীর রূপান্তর
0 মন্তব্য:
Post a Comment